ঢাকা , শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫ , ৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

​বিনিয়োগকারীর টাকা মেরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন

আপলোড সময় : ১৬-০৪-২০২৫ ১১:৪৮:৫২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৬-০৪-২০২৫ ১১:৪৮:৫২ অপরাহ্ন
​বিনিয়োগকারীর টাকা মেরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ​বিনিয়োগকারীর টাকা মেরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ডেসটিনি সাবেক এমডি রফিকুল আমিনের


নিজস্ব প্রতিবেদক 
​বিনিয়োগকারীর টাকা মেরে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন ডেসটিনি সাবেক এমডি রফিকুল আমিনের

সম্প্রতি কিছু মিডিয়ার মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয় যে ডেসটিনি-২০০০ লি: সাবেক  এমডি মোহাম্মদ রফিকুল আমিন রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্চেন। অনুসন্ধানে উঠে এসেছে 
১৭৩ /২২ সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ডেসটিনির চেয়ারম্যান প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া,ডেসটিনি চালু না করে ও ৪৫ লক্ষ বিনোগকারীদের টাকা ফেরত দেওয়া প্রক্রিয়া চালু না করে সাজা প্রাপ্ত আসামী মোঃ রফিকুলি আমীন এর সাথে মিলে বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিতাড়িত নেতাকর্মীদের পূনর্বাসনের আশায় রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা করছে।
বিনিয়োগকারীদের ২২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২০২২ সালে ১২ই মে আদালত কতৃক দোষী প্রমাণিত হয়। অপর আরেকটি মামলায় ডেসটিনি  ট্রি প্লান্টেশনের লি:২৩৪১কোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়ে ১৫ ই জানুয়ারি ২০২৫ সালে রায় ঘোষণা করে, ১২ বছরের সাজা দেয়, ১২ বছরের কারাভোগ শেষে রফিকুল আমিন মুক্তি পায়। 

মুক্তি পেয়ে ডেসটিনি ২০০০-লিঃ মালিকানাধীন বৈশাখী টেলিভিশন নিজের নিজের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নে্
অথচ ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ  বড়ুয়া, ফ্যাসিস্ট দোসর হয়ে কাজ করত,ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ,সভাপতি ছিলেন টক শো করে বিএনপি নেতা কর্মীদের হেনোস্তা করার ব্যক্তিত্ব, লন্ডনে পলাতক থেকে,সরকার বিরোধী বিভিন্ন পোষ্ট দিয়ে,ফেইসবুকে স্বরব থাকে ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া। এখনো সে লন্ডনে অবস্থান করতেছে। সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রশ্ন এখনো কিভাবে চেয়ারম্যান পদে আছে।  প্রমাণিত সাজাপ্রাপ্ত আসামি  রফিকুল আমিনকে নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল করে  আওয়ামী লীগের দোসর ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া আওয়ামী লীগের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য।কৌশলগতভাবে  কয়েকটি রাজনৈতিক দল থেকে কিছু নেতা-নেত্রী এনে নিজেদেরকে মহামানব পরিচয় দেওয়ার পায়তারা দিচ্ছে।
রফিকুল আমিন ৪৫ লক্ষ জনগণের টাকা ফেরত না দিয়ে তাদের টাকা দিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করে বাংলাদেশে প্রতারণার নতুন কৌশল করে হাজার হাজার  কোটি টাকা মেরে খাওয়া ব্যক্তি ও আওয়ামী লীগের দোসর নিয়ে   রাজনৈতিক দল গঠন করে ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেড সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার অভিনব কায়দা তৈরি করার চেষ্টা করতেছে।
বাংলাদেশ সংবিধানে দুই বছরের বেশি সাজা হলে অতপর পাঁচ বছর অতিক্রম না হলে কেউ নির্বাচন করতে পারবে না আবার দৈত নাগরিক হলে নির্বাচন করতে পারবে না রফিকুল আমিন ও তার পরিবার কানাডার নাগরিক এত শর্ত থাকা সত্ত্বেও অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে রাজনৈতিক দল গঠন করতে যাচ্ছে।
জেলখানা বসে ১৩০ এর বেশী কোম্পানি তৈরি করেছে এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় মোবাইল দিয়ে জেলখানায় বসে সারা বাংলাদেশের লোকের সাথে কথা বলার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ২০১২ সালের পূর্বে ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেড এর সাথে DMCSL এর যৌথ বিনিয়োগে সরাসরি ১৭টি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা রয়েছে। বর্তমানে রফিকুল আমিন এই ১৭টি কোম্পানির কোন একটির দায়িত্বে নাই। অথচ দায়িত্বে না থেকেও তার ইশারায় মাল্টিপারপাসে নিজের লোক সভাপতি বানিয়ে  ১৭ টি কোম্পানির সমস্ত সম্পত্তি আত্মসাৎ করার সুযোগ নিয়েছে। ডেসটিনি গ্রুপ বলতে কোন অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি ব্যক্তিগত অসৎ এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ডেসটিনি গ্রুপ নাম ব্যবহার করতেছে।নতুন রাজনৈতিক দলের সাথে ডেসটিনি-২০০০লিঃ জড়িত নাই। ৪৫ লক্ষ মানুষের  তাদের কর্মসংস্থা ও বিনিয়োগ ফেরত  পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত মোঃ রফিকুল আমীন ডেসটিনি-২০০০লিঃ মালিকানাধীন বৈশাখী টেলিভিশন এর বর্তমান বোর্ডের কোন দায়িত্বে না থেকেও ক্ষমতা ব্যবহার করে যাচ্ছেন। এতে করে কোম্পানি আইনের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও বোর্ডের বাকী মেম্বারদের  প্রাণ নাসের হুমকি দিয়ে  দখল করে রাখছে।

আওয়ামী লীগের দোসর ব্যারিস্টার  প্রশান্ত ভুষণ বড়ুয়া ডেসটিনির মালিকানাধীন বৈশাখী মিডিয়া লি:,আদালত কর্তৃক বোর্ডের চেয়ারম্যান,
আওয়ামী লীগের দোসর টিপু আলম,গোপালগঞ্জের আব্দুর রউফ এবং সাজাপ্রাপ্ত আসামি রফিকুল আমিন কে নিয়ে সাধারণ মানুষের কষ্টের অর্জিত টাকার বিনিয়োগকারীদের সম্পত্তি  লুটেপুটে খাচ্ছে। মূলত ব্যারিস্টার প্রশান্ত ভূষণ বড়ুয়া  রফিকুল আমিনকে নিয়ে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে যাচ্ছে। 
রফিকুল আমীন  ডেসটিনির ২০০০লি: কোন পথ পদবী নাই ।  ডেসটিনি২০০০লি: বর্তমানে মহামান্য হাইকোর্ট নিযুক্ত বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। 
সাধারণ জনগণের ধারণা  রাজনৈতিক দল গঠনের প্রচেষ্টা বিগত ফ্যাসিষ্ট সরকারের বিতাড়িত নেতাকর্মীদের পূনর্বাসন প্রক্রিয়ার একটি অংশ ।

মিরন খান নামে ডেসটিনি-২০০০লিঃ একজন পিএসডি তার ফেসবুক পোষ্টে রফিকুল আমিনের উদেশ্য বলেন:
৪৫ লক্ষ ডিষ্ট্রিবিউটরের ভবিষ্যত অন্ধকার করে দিয়ে আপনি কিসের রাজনীতি করেন..???
ডেসটিনির বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ ফেরত দেওয়ার কোন পদক্ষেপ না নিয়ে আপনি কিসের রাজনৈতিক দল করছেন...??
১২ টা বছর আমরা যে আপনার মুখের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করলাম তার মুল্যায়ন না করে আপনি কিসের রাজনীতি করেন...??
আপনি রাজনৈতিক দল গঠন করে ডেসটিনির ঐক্য নষ্ট করলেন, কারন আমাদের ৪৫ লক্ষ ডিষ্ট্রিবিউটরদের মাঝে বিভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের লোক আছে, আপনি যেনে বুঝেই এই কাজটা করলেন...
আপনি যে দল গঠন করলেন সেইটা অচিরেই হাসির খোরক হবে, হিরো আলম যতটা গ্রহন যোগ্যতা পেয়েছে আপনি সেইটাও পাবেন না, কারন হিরো আলমের কাছে কেও বিনিয়োগ করেনি, তার কোন এমএলএম কোম্পানী ছিলো না, সে ১২ বছর জেল খাটেনি।
আপনি যাদের উৎসাহ পেয়ে এই কাজগুলো করছেন তাদের রাজনীতির বিন্দু পরিমান অভিজ্ঞতা নেই, এরাই একসময় আপনাকে একা ফেলে পিছু হটবে (লিখে রাখেন)
সত্য বলতে আপনি আসল রত্ন ফেলে কাচ নিয়ে দৌড়াচ্ছেন, আজ হোক কাল হোক আপনি বিষয়গুলো বুঝবেন কিন্তু সেই সময় আপনার গত ১২ বছরে জেলে বসে গুছানো অর্থ শেষ হয়ে যাবে,
এসব পাগলামী ছেড়ে সঠিক পথে আসেন, 
তবে একটা কথা মনে রাখবেন স্যার, "পুত্র শোকের চাইতে টাকার শোক বড়" এতদিনে জেলে ছিলেন তাই অনেককেই আশার বানী দিয়ে ঠান্ডা রেখেছি, এখন আর সম্ভব হবে না, যখন বিনিয়োগকারীরা বুঝবে আপনি উলটো পথে হাটছেন তখন প্রত্যেক বিনিয়োগকারী টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য আদালতের দারস্থ হবে, তখন আপনার একুলও যাবে ওকুলও যাবে....!!

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ